বিভিন্ন জায়গার নামকরণের রহস্য (পর্ব – ২)

প্রকাশঃ মে ১১, ২০১৬ সময়ঃ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

n

গতকাল আমরা পৃথিবীর ১০টি অঞ্চলের নামকরণের পেছনের রহস্য জেনেছিলাম। চলুন আজকে জেনে নিই আরো ১০টি অঞ্চলের নামকরণের পেছনের কারণ।

১১। মেসোপটেমিয়া – গ্রীক শব্দ “মেসো” অর্থ মধ্যস্থান এবং “পটেনস” অর্থ নদী। অর্থ্যাৎ মেসোপটেমিয়া অর্থ দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস তথা দজলা ও ফোরাত নদীর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করায় এই ভূখন্ডের নাম রাখা হয়েছে মেসোপটেমিয়া। বর্তমান ইরাক, সিরিয়ার উত্তরাংশ,তুরষ্কের উত্তরাংশ এবং ইরানের খুযেস্তান প্রদেশের অঞ্চল গুলোই প্রাচীন কালে মেসোপটেমিয়ার অন্তর্গত ছিল বলে মনে করা হয় ।

১২। ইকুয়েডর – ইকুয়েডর দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম অংশের একটি রাষ্ট্র। নিরক্ষীয় অঞ্চল অর্থ্যাৎ ইকুয়েডরে অবস্থিত বলে এই দেশটির নামকরণ করা হয়েছে ইকুয়েডর।

১৩। স্পেন – আদি নাম হিসপানিক থেকে  দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের আইবেরীয় উপদ্বীপে অবস্থিত এই দেশটির নামকরণ করা হয়েছে স্পেন।

১৪। সাইবেরিয়া – প্রাচীন তাতার জাতির রাজধানী সাইবার থেকে সাইবেরিয়া নামের উৎপত্তি। উল্লেখ্য যে, প্রায় সমগ্র উত্তর এশিয়া নিয়ে গঠিত একটি বিস্তীর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল যা সপ্তদশ শতাব্দী থেকে সাইবেরিয়া রাশিয়ার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৫। হাঙ্গেরি – এই ভূখন্ডে বসবাসকারী হুন জাতির নামানুসারে এই দেশের নামকরণ করা হয়েছে হাঙ্গেরি

হুনরা যোদ্ধা গোত্র ছিল। হুন যোদ্ধাতুর্কি গোত্রের বাস ছিল মধ্য এশিয়ায়। হুনরা এদেরই একটি শাখা। যে কারণে হুনদের ভাষা ছিল তুর্কি। এদের আরেকটি শাখা পরবর্তীতে তুরস্কে অটোমান সাম্রাজ্য হয়ে রাশিয়া পাড় হয়ে খ্রিস্টীয় ৩৫০ শতকে শক নামক আরেকটি  বর্ধ্বংবর গোত্রদের ধ্বংস করে ইউরোপের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হয় এবং বর্তমান হাঙ্গেরিতে স্থায়ী বাসভূমি গড়ে তোলে।

১৬। কলম্বিয়া – বিখ্যাত ডাচ নাবিক কলম্বাসের নামানুসারে দেশটির নামকরণ করা হয়েছে কলম্বিয়া।

১৭। ওয়াশিংটন – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের নামানুসারে এই শহরের নামকরণ করা হয় ওয়াশিংটন হিসেবে।

১৮। পাকিস্তান – মহাকবি ইকবাল দেশটির নামকরণ করেন পাকিস্তান হিসেবে। দেশটির ৩ টি প্রদেশের নামের অংশ নিয়ে, যথা – পাঞ্জাবের পা, কাশ্মীরের কি, বেলুচিস্তানের স্তান মিলিয়ে পাকিস্তান নামটি তৈরি করেন তিনি।

১৯। এভারেস্ট পর্বতমালা – ১৮৩০ থেকে ১৮৪৩ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের সার্ভেয়ার জেনারেল ছিলেন স্যার জর্জ এভারেস্ট। ১৮৬৫ সালে তাঁর নামানুসারে এই শৃঙ্গের নামানুসারে এই শৃঙ্গের নামকরণ করা হয়েছে এভারেস্ট গিরিশৃঙ্গ।  স্যার জর্জ সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় হয়ে আছেন দক্ষিণ ভারত থেকে নেপাল পর্যন্ত মধ্য বৃত্তাকৃতি গ্রেট ট্রিগোমেট্রিক সার্ভে বা বৃহৎ ত্রিকোণমিতিক জরিপ করে। এর দূরত্ব আনুমানিক ২৪০০ কিলোমিটার বা ১,৪৯১ মাইল। তবে উল্লেখ্য যে, পর্বতটির জরিপ কিন্তু স্যার এভারেস্ট করেননি। এন্ড্রু স্কট ওয়াহ নামীয় তাঁর স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি কর্তৃক এ পর্বতের জরীপ কার্য সম্পন্ন হয়েছিল।

২০। হোয়াইট সি – রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত এই সাগর প্রায় সারা বছর বরফাচ্ছাদিত থাকে বলে এর নামকরণ করা হয়েছে হোয়াইট সি বা শ্বেত সাগর।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G